ক্রীড়া ডেস্ক
কোন ক্রমে বেঁচে গেল ইংল্যান্ড। তীর-টা কানের একে বারে পাশ দিয়েই বাইরে চলে গেল। শেষ ওভারে ৬ বলে ৫ রান জমা করলেই জয়। এমনই কঠিন ম্যাচে ৪ উইকেটে জিতে লঙ্কাকে হারিয়ে এ গ্রুপে টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিতে জায়গা করে নিল। তবে সেমিতে যেতে ইংলিশদের শেষ বল অবদি খেলতে হয়েছে।
এতে করে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিদায় ঘন্টা বেঁজে গেল। ৫ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ারি সমান হলেও রান রেটে এগিয়ে ইংলিশরা। এ গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে ইংল্যান্ড টিকিট পেয় গেল সেমির। নিজের ঘরেই অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের আসরে এখন শুধু দর্শক ছাড়া কিছুই না।
৫ ওভারে ৫২ থেকে ২০ ওভারে ১৪১ কি করে হতে পারে! শেস ১৫ ওভারে মাত্র ৯১ রান! এটা সত্য, টস জিতে লঙ্কানরা আজ যেভাবে শুরুটা করেছিল তাতে তো ২০০-এর বেশি রান হবার কথা। কিন্তু ইংল্যান্ডের পেসাদের তান্ডবে দেড় শত রানের কোটাও পেরুতে পারেনি লঙ্কান ব্যাটিং লাইন (স্কোর ১৪১/৮, ২০ ওভার)। কিন্তু তাই বলে ১৪২ রানে মিশনে ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দল লঙ্কান বোলারদের বিপক্ষে শেষ অবদি ২২ গজি উইকেটে লড়াই করবে! এটা বেমানন ছিল অবশ্যই।
শুরু থেকেই ইংলিশরা বল আর রানের পার্থক্যে এগিয়ে থেকেই টপ অর্ডার আর মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ১২ বলে ১৩ রানের টার্গেটে পা রাখে। এই ম্যাচ হেরে গেলে বিশ্বকাপ আসরের সেমিতে খেলা স্বপ্নেই থেকে যাবে, এটা তো জানাই ছিল। ১০ ওভারের পর থেকে ইংলিশদের ইনিংসে সব সময় ৪ রানে বলের চেয়ে এগিয়ে থেকেও ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। ১৮তম ওভারে প্রচন্ড ভাবে চেপে ধরে লঙ্কানরা।
চাপের কারণেই ৪ বলে এগিয়ে থাকা ইংলিশরা ১ বলে পেছনে পড়ে যায়। প্রমাণ হিসেবে বলা যায় ১০ বলে ১১ রান! স্কোর ১৩৭/৬, ওভার ১৯ শেষ, ৬ বলে এবার ৫ দরকার। নাটক এতোটাই জমে উঠেছিল যে, শেষ ৩ বলে ২ রানের মিশণে দাঁড়িয়ে ইংল্যান্ড। তবে চার মেরে দিয়ে প্রাণটা যেন হাতে নিল ইংলিশ ক্রিকেট দল (স্কোর ১৪৪/৬, ওভার ১৯.৪)।